পাটালি গুড়
শীতকাল, খেজুর গুড়, শৈশব এ সবকিছুই যেন মিষ্টি এক আবেগ এর নাম!
মনে পড়ে শেষ কবে সুমিষ্ট এক গ্লাস টাটকা খেজুরের রস খেয়েছেন?
মনে পড়ে কবে নিশ্চিন্ত মনে খাঁটি খেজুরের ঝোলা গুড় কিংবা পাটালি খেয়েছেন ?
মনে পড়ে কবে চিতুই পিঠা খাঁটি ঝোলা গুড়ে ভিজিয়ে খেয়েছেন ? হয়ত মনে পড়ে না !
ঐতিহ্যগুলো যেন ভেজালের ভিড়ে হারাতে বসেছে ।
কিন্তু আজও বাংলার কিছু মাটিতে উৎপাদন হচ্ছে খাঁটি খেজুরের গুড় । রস সংগ্রহ থেকে শুরু করে গুড় তৈরি করা পর্যন্ত কষ্ট করে যাচ্ছেন গাছি ভাইয়েরা। আর কষ্ট মাখা সেই শতভাগ খাঁটি পণ্যই তুলে দিতে চাই আপনাদের হাতে । মনে করিয়ে দিতে চাই মিষ্টি সেই শৈশব ।
শীতকাল এলেই খেজুরের রস/গুড় সহ নানান রকম সব বাহারী পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে ! আকুল হয়ে থাকে মন, যে কখন ভাপা পিঠা কিংবা চিতুই পিঠা রসালো খেজুরের গুড়ে ভিজিয়ে খাবো ! আপনাদের এই ইচ্ছা কিংবা আবেগকে শতভাগ শ্রদ্ধা জানিয়ে ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আমরা নিয়ে এসেছি রাজশাহীর বিখ্যাত খেজুর গুড় । যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা হয়ে থাকে ।
প্রিমিয়াম ফুড এর খেজুর গুড় কেন সেরা?
🏝️ 100% ভেজাল মুক্ত শতভাগ খাঁটি
🏝️ হাইড্রোজেন বা অন্যান্য রাসায়নিক মুক্ত
🏝️ স্বাস্থ্যকর অ্যালুমিনিয়াম প্যাকেজিং দ্বারা প্রস্তুত
🏝️ স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় প্রিমিয়াম গুড়
🏝️ বিখ্যাত রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত।
🏝️ গুড় সংগ্রহের সময় এর উৎপাদন এবং প্যাকিং এর বিষয়টি শতভাগ নির্ভেজাল, নিরাপদ এবং বিশদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়।
খেজুর গুড় তৈরির প্রক্রিয়া
খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার পর তা বড় পাত্রে ছেকে পরিষ্কার করে সংরক্ষণ করা হয় । কিছুক্ষন পর চুলায় আগুন দেওয়া হয় এবং খেজুরের রস জ্বাল দেওয়া হয় ।
জ্বাল দেয়ার এক পর্যায়ে রস ঘন হয়ে ঝোলা গুড়ে পরিণত হয়। ঝোলা গুড়কে আরও কিছুক্ষণ জ্বালের মাধ্যমে তৈরি করা হয় দানাদার গুড়। এবার দানা গুড়কে আরও কিছুক্ষণ জ্বালের মাধ্যমে বিজ দেওয়া হয়।এই বিজের মাধ্যমে তৈরি হয় পাটালি গুড়। পাটালি গুড় তৈরি করার জন্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘণ করার পরে তা ছাঁচে/নির্দিষ্ট আকারের পাত্রে ঢেলে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া হয়।
অন্যান্য গুড়ের চেয়ে খেজুরের গুড়ের স্থায়িত্ব কম বিধায় এর স্বাদ-গন্ধ দীর্ঘদিন অটুট রাখতে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কিছু সর্তকতা অবলম্বন করলে এই গুড় ১ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়।
সংরক্ষণের পদ্ধতি
১/ এমন একটি পাত্রে গুড় সংরক্ষন করতে হবে যেই পাত্রে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে । মাটির পাত্র কিংবা কাঁচের পাত্র হতে পারে । যদি বাতার অনুপ্রবেশ করে তবে বাতাসের প্রভাবে পাটালি গুড়ে কালো দাগ পড়তে পারে, তাতে ফাঙ্গাস পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
২/ স্বাভাবিক ভাবে গুড় ৬ মাস সংরক্ষণ করা যায়। তবে নরমাল ফ্রিজিং করলে এর থেকেও বেশি সময় ধরে খেতে পারবেন । মনে রাখতে হবে ভুলেও ডিপ ফ্রিজিং করা যাবে না । তাহলে খেজুরের ঘ্রাণ কিংবা স্বাদ দুটোই নষ্ট হতে পারে ।
৩/ ভেজা হাত অথবা ভেজা চামচ ব্যবহার করলে দ্রুত ফাঙ্গাস পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
সর্তকতা
খোলা বাজারে অধিকাংশই গুড়ের নামে বিক্রি হচ্ছে বিষ।যেখানে বিন্দু পরিমাণে খেজুর গাছের রস থাকে না।বিভিন্ন ধরণের হাইড্রোজ,টেক্সটাইল ডাই,স্যাকারিন থাকে।যা থেকে মানবদেহে সৃষ্টি হয় মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা।যেহেতু গুড় ভাত-মাছের মত মৌলিক বা আবশ্যকীয় কোন খাদ্য নয়,তাই যদি এটি খেতেই হয় রাস্তার খোলা বাজার থেকে নিম্ন মানের বিষ না নিয়ে ন্যায্য দামে সঠিক জায়গা থেকে সংগ্রহ করুন।